পরিসংখ্যা এবং শ্রেণি ব্যবধান উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করাে।

পরিসংখ্যা

কোনাে স্কোরগুচ্ছে বা  রাশিমালায় কোনাে রাশি বা স্কোর কতবার আছে তা সংখ্যামান দ্বারা প্রকাশ করলে তাকে পরিসংখ্যা বলে। রাশিবিজ্ঞানে পরিসংখ্যাকে 'f' দ্বারা সূচিত করা হয়।

আবার স্কোরগুলিকে মানের ক্রমানুসারে সজ্জিত করে সেগুলিকে পরিসংখ্যা বন্ধনে তালিকাভুক্ত করা হয়, তখন তাকে পরিসংখ্যা বণ্টন বলে। যেমন— 11, 9, 6, 7, 3, 7, 6, 11 স্কোরগুলিকে ঊর্ধ্বক্রমে সাজিয়ে পাই 1, 3, 6, 6, 7, 7, 9, 11 |

পরিসংখ্যা

এইভাবে স্কোরগুলিকে পরিসংখ্যা বণ্টনে বিন্যস্ত করলে রাশিবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় বিন্যস্ত স্কোর। উপরের ছক অনুযায়ী 3 স্কোরের পরিসংখ্যা 1, 6-এর পরিসংখ্যা 2, 9-এর পরিসংখ্যা 1 ইত্যাদি।

শ্রেণি ব্যবধান

যখন কোনাে স্কোরগুচ্ছে অনেকগুলি স্কোর থাকে তখন কাজের সুবিধার জন্য স্কোরগুলিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শ্রেণিতে ভাগ করে নেওয়া হয়। এই ভাগকে শ্রেণি ব্যবধান বলে। এই শ্রেণিব্যবধানকে দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

যেমন— কোনাে পরীক্ষায় 25 জন শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরকে শ্রেণি ব্যবধানে বিন্যস্ত করতে হবে।
শ্রেণি ব্যবধান

➽ পদ্ধতির ব্যাখ্যা 

➧ প্রথমে প্রসার নির্ণয় করতে হবে। এখানে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর হল  87 ও 62 সুতরাং প্রসার হল (87-62) = 25।

➧ এখন ঠিক করতে হবে স্কোরগুলিকে ক-টি শ্রেণিতে বিভক্ত করতে হবে। ধরা যাক 7 টি শ্রেণিতে বিভক্ত করব।

➧ এখন শ্রেণিদৈর্ঘ্য নির্ণয় করতে হবে। এখানে শ্রেণিদৈর্ঘ্য = প্রসার ÷ শ্রেণির সংখ্যা। অর্থাৎ শ্রেণিদৈর্ঘ্য = 25÷7 = 4 (প্রায়), কারণ শ্রেণিদৈর্ঘ্য ভগ্নাংশ হয় না।

এখানে শ্রেণিবিভাগ শুরু হবে 62-65 থেকে এবং শেষ হবে 86-89


এখানে উল্লেখ্য পরিসংখ্যা বণ্টন বড়াে থেকে ছােটো বা ছােটো থেকে বড়াে দু-ভাবেই করা যায়।