ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন বা পরিসংখ্যা বহুভুজ কী | ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন বা পরিসংখ্যা বহুভুজ এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখাে।

পরিসংখ্যা বহুভুজ বা ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন

ছক কাগজে বিভিন্ন চলরাশির মানসমূহকে অনুভূমিক X অক্ষে এবং চলরাশিসমূহের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিসংখ্যাকে উল্লম্ব Y অক্ষে যথােপযুক্ত স্কেলের সাহায্যে বিন্দুরূপে স্থাপন করার পর সেই বিন্দুগুলি সরলরেখার আকারে পরপর যােগ করলে যে বহুভুজ উৎপন্ন হয়, তাকে বলে পরিসংখ্যা বহুভুজ বা Freequency Polygon। এই বহুভূজের ক্ষেত্রফল দ্বারা মােট প্রাপ্ত তথ্যের পরিমাণ বােঝানাে হয়।

পরিসংখ্যা বহুভুজ অঙ্কন পদ্ধতি


(১) পরিসংখ্যা বহুভূজ আঁকার জন্য ‘x’ অক্ষে স্কোর মান হিসেবে শ্রেণিবিভাগের মধ্যমান ধরা হয়।

(২) Y অক্ষে পরিসংখ্যা পরিবেশন করা হয়।

(৩) পরিসংখ্যা বহুভুজ আঁকার সময় চিত্রের দৈর্ঘ্য ও উচ্চতার মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার জন্য ‘x’অক্ষ ও ‘Y’অক্ষের একক বিশেষ এক নিয়মে নির্বাচিত করা হয়।

(৪) এই নিয়ম অনুযায়ী Y অক্ষের দৈর্ঘ্য X অক্ষের দৈর্ঘ্যের শতকরা 60-80 ভাগ (75% rule) ধরা হয়, অর্থাৎ X ও Y অক্ষদ্বয়ের দৈর্ঘ্যের অনুপাত প্রায় 4:3 ধরা হয়। 

(৫) চিত্রটি সম্পূর্ণ করার সময় X অক্ষের বাঁদিকে একটি শ্রেণি ব্যবধানের মধ্যবিন্দু ও ডানদিকে একইভাবে আর-একটি শ্রেণিব্যবধানের মধ্যবিন্দু অবধি লাইনটিকে বিস্তৃত করে দুটি অতিরিক্ত শ্রেণি ব্যবধান নেওয়া হয়।

ফ্রিকোয়েন্সি পলিগনের সুবিধা

(১) পরিসংখ্যা বিভাজন অনুধাবন: পরিসংখ্যা বিভাজনের কোথায় ও কীভাবে পরিসংখ্যাগুলি আছে তা ফ্রিকোয়েন্সি পলিগনের মাধ্যমে সহজে অনুধাবন করা যায়।

(২) তথ্য পরিবেশন: প্রাপ্ত তথ্যগুলি যখন পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হয় তখন ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে তথ্য পরিবেশন সুবিধাজনক।

(৩) পরিসংখ্যাসমূহের পারস্পরিক তুলনা: দুটি বা তার বেশি পরিসংখ্যান বন্টন এর পারস্পরিক তুলনা ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন এর মাধ্যমে করা যায়।

(৪) সুস্পষ্ট ও অর্থপূর্ণ প্রকাশ: ফ্রিকোয়েন্সি পলিগন এর মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করলে পরিসংখ্যা বিভাজনের আকৃতি খুব সুস্পষ্ট ও অর্থপূর্ণভাবে প্রকাশ করা যায়।

(৫) পরীক্ষার্থীদের ফলাফল বিশ্লেষণ: পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর, ফলাফল ইত্যাদি পরিসংখ্যা বহুভুজ এর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা সহজ হয়।

(৬) বণ্টন প্রকৃতি নির্ণয়: বণ্টনের হ্রাস বৃদ্ধি, গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করা সুবিধাজনক।

ফ্রিকোয়েন্সি পলিগণের অসুবিধা

(১) বিস্তৃত বিবরণে অসুবিধা: ফ্রিকোয়েন্সি পলিগণের সাহায্যে রাশিতথ্যের বিস্তৃত বিবরণ দেওয়া সম্ভব হয় না।

(২) সময়সাপেক্ষ অঙ্কন: পরিসংখ্যা বহুভুজ অঙ্কন যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ।

(৩) আকর্ষণহীন: পরিসংখ্যা বিভাজনের বণ্টন যদি বেশি বিক্ষিপ্ত হয় তাহলে এটি অঙ্কন করা অসুবিধাজনক হয়।