শিক্ষাক্ষেত্রে মূল্যায়নের কাজে রাশিবিজ্ঞানের প্রয়ােগের উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো

শিক্ষাক্ষেত্রে মূল্যায়নের কাজে রাশিবিজ্ঞানের প্রয়ােগের উদ্দেশ্য

শিক্ষাবিজ্ঞান, মনােবিদ্যা, অর্থনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে রাশিবিজ্ঞানের প্রয়ােগ লক্ষ করা যায়। মূল্যায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রাশিবিজ্ঞানের প্রয়ােগের উদ্দেশ্যগুলি নীচে আলােচনা করা হল—

(১) গাণিতিক যুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে : রাশিবিজ্ঞান শিক্ষাগত পরিমাপগুলিকে শুধু সহজভাবে প্রকাশ করে না বরং সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলিকে গাণিতিক যুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।

(২) তথ্যবিন্যাস ও তথ্য বিশ্লেষণে সাহায্য করে : বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরগুলিকে বিন্যাস ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে (গড় ও বিচ্যুতি নির্ণয়ের মাধ্যমে) শিক্ষার্থী ও তার দল সম্পর্কে নানা মতামত প্রকাশ করতে রাশিবিজ্ঞান সাহায্য করে।

(৩) প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে গুণগত মানের তুলনা করতে : রাশিবিজ্ঞানের অন্যতম উদ্দেশ্য হল একই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের নম্বরের ভিত্তিতে কোন্ শিক্ষার্থী কেমন, শ্রেণিতে তার অবস্থান কোথায় ইত্যাদি জানানাে।

(৪) অভীক্ষা প্রস্তুত করতে : মূল্যায়ন করার জন্য যে অভীক্ষা প্রয়ােগ করা হয় তার প্রশ্ন বিশ্লেষণ, নির্ভরযােগ্যতা, যথার্থতা ইত্যাদি যাচাই করা রাশিবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য।

(৫) সংশােধনমূলক শিক্ষণের ব্যবস্থা করতে : বিভিন্ন পাঠ্য বিষয়ের পারদর্শিতা যাচাইকরণের পর যদি দেখা যায় শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট মানে পৌছােয়নি, তাহলে তাদের জন্য সংশােধনমূলক শিক্ষণের ব্যবস্থা করা রাশিবিজ্ঞানের অপর একটি উদ্দেশ্য।

(৬) শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতে : রাশি বিজ্ঞানের প্রয়ােগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা যাচাইয়ের ফলে তার ভবিষ্যৎ-প্রবণতা সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করা যায়। শিক্ষার্থীদের প্রবণতা জানতে পারলে তাদের ক্ষমতা ও প্রবণতা অনুযায়ী শিক্ষা-পরিকল্পনাও করা যায়।

রাশিবিজ্ঞানের কাজ

রাশিবিজ্ঞানের যেসকল কাজ লক্ষ করা যায়, সেগুলি আলােচনা করা হল —

(১) তথ্যসংগ্রহ : রাশিবিজ্ঞানের বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়ােগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শিতা পরিমাপ করে তথ্যসংগ্রহ করা হয়।

(২) তথ্য উপস্থাপন : সংগৃহীত তথ্যগুলিকে সহজে ও সংক্ষেপে এবং যুক্তিগ্রাহ্য উপায়ে তথ্য উপস্থাপন করতে রাশিবিজ্ঞানকে ব্যবহার করা হয়।

(৩) তথ্য বিশ্লেষণ : রাশিবিজ্ঞানের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে সহজে বিশ্লেষণ করা যায়।

(৪) ফলাফল অনুমান : তথ্য বিশ্লেষণের পর শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ প্রবণতা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে রাশিবিজ্ঞান সাহায্য করে।

(৫) পরিবর্তনের কারণ অনুসন্ধান : রাশিবিজ্ঞান অতীত ও বর্তমানের ফলাফলের তুলনা করে এর পরিবর্তনের কারণ অনুসন্ধান করে।

(৬) সিদ্ধান্ত গ্রহণ : রাশিবিজ্ঞান আমাদের স্বাধীন চিন্তাভাবনা এবং পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক পথের সন্ধান দেওয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে।

অন্তদৃষ্টি শিখনের বৈশিষ্ট্য লেখাে। অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখনের বৈশিষ্ট্য


প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্ব এবং অন্তদৃষ্টিমূলক শিখনের মধ্যে পার্থক্য লেখো।


রাশিবিজ্ঞান বলতে কী বোঝো। শিক্ষাগত রাশিবিজ্ঞান কাকে বলে বা শিক্ষা রাশিবিজ্ঞন কাকে বলে। শিক্ষা-রাশিবিজ্ঞানের উপযােগিতা লেখাে।