শিক্ষাগত মূল্যায়নে কেন্দ্রীয় প্রবণতার গুরুত্ব সম্পর্কে টীকা লেখো।

কেন্দ্রীয় প্রবণতার গুরুত্ব

কেন্দ্রীয় প্রবণতা হল কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার প্রবণতা। এটি সমস্ত স্কোরের প্রতিনিধিত্ব করে। একগুচ্ছ স্কোরে পৃথক মানে স্কোর থাকলে তাদের ভর কেন্দ্রে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। কেন্দ্রীয় প্রবণতার গুরুত্ব সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল— 

(১) শিক্ষার্থীর ফলাফল নির্ণয়: কেন্দ্রীয় প্রবণতার সাহায্যে শিক্ষার্থীর পূর্বের প্রাপ্ত নম্বর বা ফলাফলের নিরিখে বর্তমান ফলাফলের ভিত্তিতে সফলতা হার নির্ণয় করা যায়।

(২) দক্ষতা পরিমাপ : কেন্দ্রীয় প্রবণতার মান শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা বিচার করে দক্ষতা পরিমাপ করে।

(৩) দক্ষতার তুলনা : কেন্দ্রীয় প্রবণতার মান শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দলের মধ্যে, শ্রেণির মধ্যে পারস্পরিক দক্ষতার তুলনা করে।

(৪) স্থান নির্ণয় : শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর অবস্থিতি কী, তার সাফল্যের মাত্রার নিরিখে সে সকলের মধ্যে কততম তা নির্ণয় করা যায়।

(৫) বিভিন্ন গাণিতিক সমাধান : কেন্দ্রীয় প্রবণতার সাহায্যে বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত পরিমাপ যেমন বিচ্যুতি, সহ-সম্পর্ক ইত্যাদি নির্ণয় করা যায় কেন্দ্রীয় প্রবণতার মানের সহায়তায়।

(৬) তথ্য সমূহের অর্থ বহন : শিক্ষামূলক বিভিন্ন তথ্য সমূহ কেন্দ্রীয় প্রবণতা সাহায্যে অর্থবহ হয়ে ওঠে। গড়, ভূমিষ্টক, মধ্যমান- এর সাহায্যে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সহজে পাওয়া যায়।

(৭) সামগ্রিক মূল্যায়ন : কেন্দ্রীয় প্রবণতার সাহায্যে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক মূল্যায়ন বিশেষভাবে করা যায়।

(৮) বিভিন্ন তথ্যের তাৎপর্য নির্ণয় : শিক্ষাক্ষেত্রে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্যের ব্যাপক তাৎপর্য নির্ণয়ের জন্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার মান বিশেষভাবে সাহায্য করে।

(৯) শিক্ষামূলক তথ্য বিশ্লেষণ : কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের সাহায্যে গাণিতিক যুক্তির মাধ্যমে শিক্ষামূলক তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।

(১০) বিভিন্ন তথ্যাবলির প্রকাশ : কেন্দ্রীয় প্রবণতার মান বিভিন্ন তথ্যাবলিকে সহজভাবে প্রকাশ করতে সাহায্য করে।

সবশেষে বলা যায়, কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপের সাহায্যে একটি  আদর্শ মান নির্ণয় করা যায় বলে নির্ভরযোগ্যতা সঙ্গে মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা বিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ের তথ্যাবলী ব্যাপক তাৎপর্য বিচার করা সম্ভব হয়।