কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের বিভিন্ন কৌশলগুলির কোনটি কখন ব্যবহৃত হয় ?

কেন্দ্রীয় প্রবণতার দ্বারা কোনো রাশির বিকেন্দ্রীকৃত অবস্থা পরিমাপ করা হয়। কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের কৌশল বলতে মিন বাই গড়, মিডিয়ান বা মধ্যমমান এবং মােড বা ভূমিষ্ঠ কাকে বোঝানো হয়। যে সকল ক্ষেত্রে এই কৌশলগুলি ব্যবহার করতে হয় তা এখানে উল্লেখ করা হল—

পরিমাপের কেন্দ্রীয় প্রবণতার বিভিন্ন কৌশলসমূহ

(A) যেসব ক্ষেত্রে মিন বা গড় ব্যবহৃত হয়

(১) যখন নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ জানার দরকার হয়।
(২) যখন অন্যান্য পরিসংখ্যান কৌশল (যেমন— SD, আদর্শ বিচ্যুতি ইত্যাদি জানার ) প্রয়োজন হয়।
(৩) যখন বন্টনটি স্বাভাবিক থাকে এবং প্রত্যেকটি স্কোরের ওজন প্রায় একই থাকে।
(৪) প্রত্যেকটি স্কোরের ওজন একই বলে ধরে নেওয়া হলে।

(B) যেসব ক্ষেত্রে মধ্যমমান (Median) ব্যবহার করা হয়

(১) যখন বণ্টনটির মধ্যমানটি জানা প্রয়ােজন হয়।
(২) যখন বণ্টনটির কেন্দ্রীয় প্রবণতার মান খুব দ্রুত নির্ণয় করার প্রয়ােজন হয়।
(৩) যখন বন্টনটিতে চরম স্কোর থাকে।
(৪) যখন স্কোর গুলিকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা প্রয়োজন হয়।
(৫) যখন বণ্টনের সঠিক মধ্যমমানটি বা 50% স্থান জানার প্রয়ােজন হয় তখন মধ্যম মানের ব্যবহার প্রয়োজন।
(৬) বণ্টনের মধ্যে কোন স্কোর উপরের অর্ধে আছে বা নীচের অর্ধে আছে তা জানার প্রয়োজন হলে।
(৭) বণ্টনটি স্বাভাবিক না হলে।
(৮) যখন অসম্পূর্ণ বন্টনের জন্য গড় নির্ণয় করা যায় না।
(৯) দীর্ঘ গণনা বা হিসাব করার সময়ের অভাব থাকে।

(C) যেসব ক্ষেত্রে ভূমিকা (Mode) ব্যবহার করা হয়

(১) যখন খুব দ্রুত কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ জানা প্রয়োজন হয়।
(২) যখন বন্টনের মধ্যে কোন কোর সবচেয়ে বেশিবার আছে তা  জানার প্রয়োজন হয়।
(৩) যখন কেন্দ্রীয় প্রবণতার একটা সাধারণ বা চলতি মান হলেই কাজ চলে যায়।
(৪) গাণিতিক গণনা ব্যতিরেকে কেন্দ্রীয় প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা পেতে ব্যবহৃত হয়।