জাতীয় শিক্ষানীতি (১৯৮৬ খ্রিঃ.)-তে উল্লেখিত অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব, সম্পর্কে আলোচনা করো।

জাতীয় শিক্ষানীতি (১৯৮৬ খ্রিঃ.)-তে উল্লেখিত অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব

১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ সাংবিধানিক সংশোধনের (The Constitutional  Amendment) মধ্যে শিক্ষাকে যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ছিল একটি সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ। জাতীয় জীবনের সর্বাধুনিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে, যেমন— শিক্ষায় স্বাধীন সত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে যাতে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলো প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করতে পারে সেদিকে লক্ষ রেখেই উক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিক্ষার সমন্বয়সূচক চরিত্রকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবে, শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার ও উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য নির্দেশ করে সমগ্র দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন মেটানোর দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

উচ্চশিক্ষা ও মানবসম্পদের বিকাশ ও বৃদ্ধি প্রত্যেকটি স্তর থেকে প্রতিভার শনাক্তকরণ ইত্যাদি পর্যায়ে কেন্দ্র অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবে। যুগ্ম তালিকার দ্বারা একটি অংশীদারিত্বের ধারণা অভিব্যক্ত হয়। উপরোক্ত লক্ষ্যপথে জাতীয় শিক্ষানীতিকে পরিচালনার জন্য চিন্তায় ও কর্মে কেন্দ্র এবং রাজ্যের অংশীদারী ভূমিকা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।