ভাষা পরীক্ষাগারের উদ্দেশ্য এবং পরিচালনা আলােচনা করাে।

ভাষা পরীক্ষাগার একটি স্বয়ংশিখন কৌশল। বিদেশি ভাষা শেখার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কৌশলে শিক্ষার্থী রেকর্ডেড টেপ থেকে ভাষা শুনে এবং একইরকমভাবে তা বলার চেষ্টা করে। এইভাবে বারবার অনুশীলন করতে থাকে। ভাষা পরীক্ষাগারে শ্রবণ এবং কথন-এর উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সঠিক উচ্চারণ করার উপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে লেখা ও পড়া বিকশিত হয়ে থাকে।

 ভাষা পরীক্ষাগারের উদ্দেশ্য

(1) সঠিক ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম যােগাযােগ করতে সক্ষম করে তােলা। 
(2) ভাষা পরীক্ষাগারের উদ্দেশ্য এবং পরিচালনা আলােচনা করাে।
(3) ভাষা পরীক্ষাগারের উদ্দেশ্য এবং পরিচালনা আলােচনা করাে।
(4) বিভিন্ন শব্দ উচ্চারণের পার্থক্য বুঝতে শিক্ষার্থীকে সাহায্য করা। 
(5) নির্ভুলভাবে শিক্ষার্থীদের উচ্চারণ করতে শেখানা। 
(6) শিক্ষার্থী নিজেই তার ভুল উচ্চারণকে শনাক্ত করে এবং বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে সংশােধন করতে পারে। 
(7) ভাষা ব্যবহারের সঠিক শব্দচয়ন, Idioms এবং Phrase ব্যবহারের ক্ষমতা বিকাশের অন্যতম লক্ষ্য।

ভাষা পরীক্ষাগার পরিচালনা

ভাষা পরীক্ষাগারে শিক্ষার্থীদের ভাষা শিক্ষার জন্য একটি নির্দিষ্ট কক্ষে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য পৃথকভাবে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের এই পৃথকভাবে বসার ব্যবস্থাকে বলা হয় বুথ। এখানে হেডফোন এবং লাউডস্পিকার থাকে। পরীক্ষাগার পরিচালককে বলা হয় মনিটর। তিনি সাধারণত টেপরেকর্ডারের মাধ্যমে পাঠদান করেন। শিক্ষার্থীরা নির্দেশগুলি শুনে তার পুনরাবৃত্তি করে। কোনাে শিক্ষার্থী ভুল করলে 'মনিটর শিক্ষার্থীদের ভুল সংশােধন করেন কিংবা প্রয়ােজনবােধে শিক্ষার্থীও মনিটর-এর সাহায্য নিতে পারে। বর্তমানে ভারতবর্ষেও এই ধরনের পরীক্ষাগার ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে। (Bharat Electronics) ভাষা পরীক্ষাগারের সমস্ত যন্ত্র ভারত ইলেকট্রনিক্স সরবরাহ করে। ভাষা পরীক্ষাগার পরিচালনার তিনটি সেকশন আছে一
  • শ্রবণ বুথ,
  • উপদেষ্টা বুথ,
  • নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
(1) শ্রবণ বুথ: একটি ভাষা পরীক্ষাগারে প্রধানত ১৬-২০টি শ্রবণ বুথ থাকে। প্রত্যেকটিতে একটি করে চেয়ার-টেবিল থাকে সেখানে ছাত্ররা বসে শুনতে পারে। উপদেষ্টা বুথের সঙ্গে টেলিফোন ও ইয়ারফোনের যােগ রয়েছে। সুইচ অন করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেপের প্রয়ােজনীয় অংশ শিক্ষার্থীরা শুনতে পারে। নিজের স্বর রেকর্ড করতে পারে। Replay করতে পারে ইত্যাদি।

(2) উপদেষ্টা বুথ: এই বুথে মাস্টার টেপের সঙ্গে এক বা একাধিক টেপ থাকে। শিক্ষার্থীদের পরিচালনার জন্য মনিটর থাকে অর্থাৎ দ্বিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।

(3) নিয়ন্ত্রণ কক্ষ : নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সমস্ত টেপরেকর্ড ও অন্যান্য সব যন্ত্রপাতি থাকে। শিক্ষার্থীরা যখন যা চাইবে তা যাতে সহজে পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা যাবে।

শিক্ষক প্রথমে মাস্টার টেপ চালান। তা থেকে প্রত্যেক বুথে রাখা টেপে প্রয়ােজনমতাে শব্দ তুলে নিয়ে রেকর্ড করে। আর শিক্ষার্থীরা তার নিজের টেপ চালিয়ে শােনে এবং প্রয়ােজনমতাে মৌখিক প্রতিক্রিয়া করে।