মূক ও বধিরদের জন্য প্রয়োজনীয় কী কী ব্যবস্থা অবলম্বন করা যেতে পারে?


মূক ও বধিরদের মধ্যে নানা দিক থেকে সমস্যা রয়েছে সেসব সমাধানকল্পে নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়।

মূক ও বধিরদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা

(১) বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ: সর্বভারতীয় স্তরে সমীক্ষা করে ফলাফলের ভিত্তিতে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।

(২) সংখ্যা নির্ণয় : সারাদেশে মূক ও বধির ছেলেমেয়ের সংখ্যা কত তা নির্ণয় করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

(৩) সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয়করণ : মূক ও বধির শিক্ষার্থীদের জন্য যেসকল  সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় আছে সেগুলির মধ্যে কিছু কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানগুলিকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয়করণ করা প্রয়োজন।

(৪) পর্যাপ্ত বিদ্যালয় স্থাপন : পর্যাপ্ত সংখ্যক মূক ও বধিরদের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে এবং সেগুলিকে আবাসিক করা দরকার।

(৫) আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পাঠক্রম রচনা : পরিবর্তনশীলতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তাদের উপযোগী পাঠক্রম রচনা করতে হবে।

(৬) শিক্ষক-শিক্ষণ মহাবিদ্যালয় স্থাপন : মূক ও বধির শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের প্রয়োজন। তাই আধুনিক মানের উন্নত শিক্ষক-শিক্ষণ কলেজ স্থাপন করতে হবে।

(৭) দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ : এর শিক্ষাদান অত্যন্ত জটিল কাজ। তাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করা বাঞ্ছনীয়।

(৮) বৃত্তির ব্যবস্থা : এদের শিক্ষার জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা দরকার।

(৯) ইতিবাচক মনোভাব গঠন : স্বাভাবিক শিশুদের সঙ্গে এরা সামঞ্জস্য রাখতে পারে না, তাই তারা হীনমন্যতায় ভোগে। এই মনোভাব দূর করে ইতিবাচক মনোভাব গঠন করতে হবে। তাদের প্রতি অত্যন্ত ধৈর্য ও সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন।

(১০) আধুনিক শিক্ষা সহায়ক উপকরণের ব্যবস্থা : বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে শিক্ষা সহায়ক নানা উপকরণ তৈরি করা হচ্ছে। মূক ও বধির শিশুদের এই সকল উপকরণ সহযোগে পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

আমাদের সকলকে ভাবতে হবে যে এই শিশুরা সমাজ-বহির্ভূত নয়। তাই সরকারকেও আরও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে আসতে হবে। এদের বিকাশ ঘটানােই আমাদের সাধনা।