বয়স্ক শিক্ষার সমস্যা গুলো সমাধানের পন্থা গুলি বিবৃত করো।

বয়স্ক শিক্ষার সমস্যা গুলো সমাধানের পন্থা সমূহ

স্বাধীনতার এত বছর পরেও বিভিন্ন সমস্যা যেমন সমন্বয়ের অভাব, প্রবহমান শিক্ষার অভাব, মহিলাদের আগ্রহের ঘাটতি, জাতিভেদ, কুসংস্কার, শিক্ষকের সমস্যা, অর্থাভাব, প্রচারের অভাব ইত্যাদি কারণে বয়স্ক শিক্ষার প্রসার এখনো আশানুরূপ ভাবে সফলতা পায়নি। এত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও সে গুলি দূরীকরণে কতগুলি সমাধানের পথ বর্তমান, তা নিম্নে আলোচিত হল সূত্রাকারে—

(১) বয়স্কদের সুবিধার্থে বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র: বয়স্কদের সুবিধা অনুযায়ী বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র গুলি পরিচালিত হবে। সুবিধা বলতে সময়ের কথা বলা হয়েছে। তাদের সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেন্দ্রগুলি পরিচালিত হবে।

(২) আংশিক সময়ের সাধারণ ও বৃত্তি শিক্ষা : ১৫-৩৫ বছর বয়স্কদের শিক্ষার জন্য আংশিক সময়ের সাধারণ শিক্ষা ও বৃত্তিশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

(৩) উপযােগী পাঠক্রম : বয়স্কদের উপযােগী পাঠক্রম রচনা করতে হবে। পাঠক্রম যেন তাদের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়।

(৪) উপযোগী পাঠ্যপুস্তক : বয়স্কদের উপযোগী করে বিশেষভাবে পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে হবে।

(৫) আকর্ষণীয় শিক্ষণ পদ্ধতি : বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষণ পদ্ধতিকে আকর্ষণীয় করে ভােলা দরকার।

(৬) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক : এদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের প্রয়োজন।

(৭) সকলের সহযোগিতা : বয়স্ক শিক্ষাকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা। সাধারণ জনগণ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সরকার সকলের সহযোগিতায় বয়স্ক শিক্ষার গতি ত্বরান্বিত হবে।

(৮) শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রচেষ্টা : বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকের চেষ্টা করবেন তাদের কর্মীদের কার্যকর স্বাক্ষর করে তুলতে।

(৯) সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা : বয়স্কদের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

(১০) উন্নত জীবনদর্শন গঠন : বয়স্কদের মধ্যে লেখাপড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে উন্নত জীবনদর্শন গঠনের চেষ্টা করতে হবে। যাতে তারা নিজেরাই এই শিক্ষায় আগ্রহী হয়।

উপরোক্ত সমাধানের উপায় গুলি বয়স্ক শিক্ষার সমস্যাবলিকে দূরীভূত করে শিক্ষার প্রসার ঘটায় এবং সুনাগরিক তৈরি করতে, চাই সঙ্গে সঙ্গে দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক কাঠামোকে সুদৃঢ় করবে।