কর্মের জন্য শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তা উল্লেখ করাে।

জীবনব্যাপী শিক্ষার দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হল কর্মের জন্য শিক্ষা। কর্মের জন্য শিক্ষার অর্থ কাজে উৎকর্তা আনা, শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যদি সামাজিক কাজে অংশগ্রহণের সুযােগ পায় তাহলে তাদের অন্তর্নিহিত সত্তার বিকাশ ঘটে। কর্মদক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তার সমাজ জীবনে ও ব্যক্তিজীবনে টিকে থাকা সম্ভব।

কর্মের জন্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

শ্রমের প্রতি মর্যাদা বৃদ্ধি কর্মের জন্য শিক্ষা শুধু দক্ষতা বৃদ্ধি করে না, মানুষের মনে শ্রমের প্রতি মর্যাদা, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।

(1) সামাজিক সমস্যা সমাধানে: বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে তার সমাধান করার শিক্ষা শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকে।

(2) সৃজনশীলতা : কর্মের জন্য শিক্ষা ব্যক্তির অন্তর্নিহিত সৃজনশীল ক্ষমতার বিকাশ ঘটায়।

(3) দৈহিক বিকাশ : কর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দৈহিক সুস্থতা ও বিকাশ সম্ভব হয়।

(4) আগ্রহ সৃষ্টি : কর্মের জন্য শিক্ষা শিক্ষার্থীর মধ্যে কৌতূহলী মনােভাবের সৃষ্টি করে ও আগ্রহের নিবারণ করে।

(5) বৃত্তি নির্বাচনে সহায়তা : শিক্ষার্থীরা যাতে ভবিষ্যতে নিজেদের পছন্দের মতাে বৃত্তি নির্বাচন করতে পারে, সেই বিষয়ে সহায়তা করে।

(6) মানবসম্পদ সৃষ্টি : কর্মের জন্য শিক্ষা মানুষকে উৎপাদনশীল করে তােলে। এরাই প্রকৃত মানব সম্পদ।

(7) অনুভূতিমূলক মাত্রার বিকাশ : কাজের মধ্যে থাকলে শিক্ষার্থী আনন্দ পায়। কাজের সাফল্য শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।

এইরূপ জীবনব্যাপী শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হল কর্মের জন্য শিক্ষা। মানুষের জীবনের প্রয়ােজনীয় দিকগুলি যেমন কর্ম ও অনুভূতিমূলক মাত্রার বিকাশ, কর্ম সম্পাদনে যােগ্যতা অর্জন, দলের সঙ্গে কাজ করা, সামাজিক বিকাশ, সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ, মানব সম্পদের ব্যবহার, শ্রমের মর্যাদা দান, কর্মে নৈপুণ্য অর্জন, বৃত্তি পরিকল্পনা, দৈহিক সুস্থতা ইত্যাদি কর্মমূলক শিক্ষার মাধ্যমেই পূর্ণতা লাভ করে।