ওভারহেড প্রজেক্টর সম্পর্কে অধ্যাপক কে এল কুমারের প্রস্তাব ও নির্দেশনামা আলােচনা করাে।

অধ্যাপক কে এল কুমার ভালোভাবে ওভারহেড প্রজেক্টর ব্যবহার করার জন্য কয়েকটি প্রস্তাব নির্দেশনামা আলােচনা করেছেন।

ওভারহেড প্রজেক্টর সম্পর্কে অধ্যাপক কে এল কুমারের প্রস্তাব

(১) অর্ধেক স্বচ্ছ পর্দায় কোনাে বিষয় যদি দেখানাে সম্ভব হয় তবে সেটিই ব্যবহার করা হবে।

(২) বৈচিত্র্যপূর্ণ দর্শন সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করা যেমন গ্রাফ, ডায়াগ্রাম। প্রধান শব্দ থাকলে ভালাে হবে, বাক্য বা অনুচ্ছেদ নয়। 

(৩) হাতের লেখা বা type করা যা আমরা সচরাচর করি সেই অক্ষরে লেখা ভালাে। বড়াে হাতের লেখা (Capital) নয়। 

(৪) উদঘাটন কৌশল প্রয়ােগ করতে হবে। যে point-এ জোর দিতে হবে তখন সেটি উদ্ঘাটন করা হবে। 

(৫) ওভারলের সাহায্যে প্রতিটি ভিশুয়ালের সঙ্গে প্রয়ােজনীয় তথ্য দেওয়া।

(৬) স্ট্রিপ, সংকেত শব্দ এবং phrase ব্যবহার করতে হবে। 

(৭) স্তর অনুযায়ী বিভিন্ন রঙে ও আকৃতিতে কার্ট আউট দিতে হবে।

(৮) প্ল্যাটফর্মে ঠিক জায়গায় pointer দিতে হবে। 

(৯) সক্রিয়ভাবে প্রদর্শন করতে হবে। মাঝে মাঝে অতিরিক্ত প্রয়ােজনীয় কথা বা স্কেচ দেওয়া তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়ােজন হবে।

ওভারহেড প্রজেক্টর সম্পর্কে অধ্যাপক কে এল কুমারের নির্দেশনামা


(১) স্বচ্ছ পর্দায় কোন ছবি থেকে সরাসরি কিছু না লেখা বা ফটোকপি না করা। 

(২) দর্শকেরা ঠিক স্বচ্ছভাবে ও পরিষ্কারভাবে আলােচ্য বক্তব্য ও চিন্তাধারা নিতে পারছে কি না সেব্যাপারে সর্বদা সতর্ক থাকা। 

(৩) এই পদ্ধতি দ্রুত শিখনে সহায়তা করে তাই শিক্ষক-শিক্ষিকা এই পদ্ধতি প্রয়ােগ করবে। 

(৪) এই পদ্ধতিতে একমুখী যোগাযোগ সম্ভব। 

(৫) সম্পূর্ণভাবে শুধুমাত্র ইলেকট্রিসিটির উপর নির্ভর না করে ব্যাটারিচালিত মাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে।