কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশসমূহ আলােচনা করাে।

কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ

(১) ইনপুট ডিভাইস (Input Device) : এটি হল কম্পিউটারে তথ্য জোগান দেওয়ার যন্ত্র। যেমন কী-বাের্ড, লাইট পেন, মাউস, জয়স্টিক ইত্যাদি।

কাজ:
এই ডিভাইস ইনপুট নির্দেশ গ্রহণ করে।
প্রাপ্ত নির্দেশসমূহকে কম্পিউটারে ভাষায় পরিবর্তন করে। 
নির্দেশিত বিষয়গুলি কন্ট্রোল ইউনিট (CU)-এর মাধ্যমে মূল মেমােরিতে (RAM) পাঠায়।

(২) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (processing Device or CPU) : প্রকৃতপক্ষে এটি কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। ডেটা প্রসেসিং বা গণনা করা ছাড়াও কম্পিউটারের ভিতরের এবং কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত যন্ত্রাংশকে নিয়ন্ত্রণ করে এই ইউনিট। এটি ইনপুট ডিভাইস থেকে তথ্য গ্রহণ করে বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার ফলাফল দেয়। CPU প্রধান দুটি অংশে বিভক্ত যথাক্রমে (a) CU বা কন্ট্রোল ইউনিট (Control Unit), (b) ALU বা এরিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট (Arithmetic & Logic Unit)।

কাজ :
বিশ্লেষণের পর প্রাপ্ত ফলাফলগুলিকে CPU, আউটপুট যন্ত্র প্রেরণ করে। 
CPU-এর মধ্যে অবস্থিত কন্ট্রোল ইউনিট (CU) কম্পিউটারের সমস্ত কার্যপ্রণালীকে নিয়ন্ত্রণ করে।
সমস্ত গাণিতিক বিষয়, সমস্যার সমাধান করে ALU।

(৩) মেমোরি ইউনিট (Memory or Storage Device) : কম্পিউটারে যে তথ্য প্রবেশ করানো হয়, তা সঞ্চিত থাকে তার মেমোরি ইউনিটে। কম্পিউটারের মেমোরি কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় (a) প্রাইমারি মেমোরি এবং (b) সেকেন্ডারি মেমোরি।

(a) প্রাইমারি মেমোরি (Primary Memory) : এটি কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি যা IC (Integrated Circuit)-এর ভিত্তিতে বানানাে হয়। এই মেমোরি অস্থায়ী প্রকৃতির। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে এই মেমােরির তথ্য মুছে যায়। উদাহরণ— RAM, Register এবং ROM হল প্রাইমারি মেমোরি। তবে ROM ব্যতিক্রমী প্রাইমারি মেমোরি, যেক্ষেত্রে তথ্যগুলি মুছে যায় না।

(b) সেকেন্ডারি মেমোরি (Secondary Memory) : চৌম্বকীয় বা অপটিক্যাল মাধ্যমে বানানাে হয় এই অনুদ্বায়ী (Non Volatile) মেমােরি, যা বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলেও তথ্য অবিকৃত থাকে, মুছে যায় না। উদাহরণ : হার্ড ডিস্ক, ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, ডিভিডি, ব্লু-রে ডিস্ক ইত্যাদি।

(৪) আউটপুট ডিভাইস (output Device) : এটি কম্পিউটারের ফলাফল পরিবেশনের যন্ত্র। মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার ইত্যাদি আউটপুট ডিভাইসের উদাহরণ। ইনপুট ডিভাইস থেকে তথ্যগুলি CPU-তে বিশ্লেষিত হওয়ার পর আউটপুটে প্রেরিত হয় এবং আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ফলাফল পাওয়া যায়। যেমন মনিটর, স্পিকার, প্রিন্টার, বারকোড, প্লটার ইত্যাদি।

কাজ :
ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে গৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের পর মনিটর পর্দায় প্রদর্শন করে।
তথ্যসমূহ রূপান্তরের পর প্রিন্টারের সাহায্যে ছাপার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।