বিজ্ঞান শিক্ষা সম্পর্কে কোঠারি কমিশনের সুপারিশ গুলি উল্লেখ করাে।

বিজ্ঞান শিক্ষা সম্পর্কে কোঠারি কমিশনের সুপারিশ

বিভিন্ন শ্রেণিতে বিজ্ঞানের শিক্ষাদানের বিষয় কী কী হবে সেগুলি সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল—

[1] নিম্ন প্রাথমিক শ্রেণি : প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে বিজ্ঞান শিক্ষা পরিবেশ শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হবে। অধ্যায় গুলোর মধ্যে থাকবে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, ভালাে অভ্যাস গঠন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক শিক্ষা। এর সঙ্গে তাকে পরিচয় দেওয়া হবে, যে পরিবেশে সে বড়াে হচ্ছে সেখানকার পরিবেশ, জল, হাওয়া, আবহাওয়া, গ্রহ, নক্ষত্র প্রভৃতি বিষয়।

[2] উচ্চপ্রাথমিক স্তর: এই স্তরে শিক্ষা দেওয়া হয় যুক্তির সঙ্গে কীভাবে চিন্তাধারার প্রসারণ ঘটানাে যায়, এখানে পরিবেশ, মৃত্তিকা, আবহাওয়া, গাছপালা ইত্যাদি সম্বন্ধে আরও গভীরভাবে পড়ানো হয়। চতুর্থ শ্রেণির মধ্যে রােমান বর্ণমালা, প্রতীক চিহ্নের ব্যবহার ইত্যাদি শেখানো হয়।

[3] পঞ্চম শ্রেণি: এই শ্রেণিতে ভারতের পঞ্জিকার সঙ্গে মিলিয়ে গ্রহ নক্ষত্র চেনানাে হয়। একটি বইতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে পরিচয় ঘটানো হয়, যেমন—জীববিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা ইত্যাদি।  কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে এই উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষায় সাধারণভাবে বিজ্ঞান পড়ানোর বদলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা দিলে কার্যকর হবে। প্রতিটি নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি Science Corner এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পরীক্ষাগার এবং বক্তৃতা গৃহ অবশ্যই থাকতে হবে।

[4] মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান শিক্ষা :
  • নিম্নমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত পাঠক্রম গ্রহণ করা হবে।
  • উপযুক্ত গবেষণাগার এবং শিক্ষকমণ্ডলী থাকবে।
  • গ্রামাঞ্চলে বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে কৃষিবিদ্যা যুক্ত হবে।
  • শহরাঞলে বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে কৃষি ও কারিগরি বিদ্যা যুক্ত হবে।
  • ভূমি বিদ্যা, ভূগোল, ভূ বিদ্যাকে আলাদা আলাদা বিষয় হিসেবে পড়াতে হবে।

[5] উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞানশিক্ষা: শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের তিনটি বিষয়ে যেমন পড়বে তেমনি দুটি বিজ্ঞান বিষয়ের সঙ্গে একটি কলা বিষয় অথবা একটি বিজ্ঞান বিষয়ের সঙ্গে দুটি কলা বিষয় ঐচ্ছিক হিসেবে নিতে পারবে।

[6] উচ্চশিক্ষা স্তরে বিজ্ঞানশিক্ষা :
  • বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষা ও তাত্ত্বিক কাজের মধ্যে সমতা বিধান করতে হবে।
  • জীবন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে  Micro Organism study এবং ঔষধের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করার কথা বলা হয়েছে।
  • Astronomy Astrophysics- এর ওপর গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
  • পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক কাজের উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বৃত্তিমুখী ও কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে আলােচনা করাে। বর্তমান ভারতে প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের বৃত্তিমুখী ও কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করো।


কোঠারি কমিশন বিদ্যালয় শিক্ষার ক্ষেত্রে যে সূত্র বিন্যাস করেছে, সেগুলি আলােচনা করাে এবং শিক্ষার স্তর অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বয়সসীমা উল্লেখ করো।


ভাষা নীতি এবং ভাষা শিক্ষা সম্পর্কে কোঠারি কমিশনের  সুপারিশ উল্লেখ করো।