CPU-এর কার্যাবলি বর্ণনা করাে। CAL ও CAI এই দুটি কীভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?

CPU-এর কার্যাবলি

CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট হল কম্পিউটারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি তথ্য বিশ্লেষণ করা ছাড়াও কম্পিউটারের ভিতরের ও কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত সকল যন্ত্রাংশকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই CPU-কে কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বলা হয়ে থাকে।

কাজ: CPU-এর দুটি প্রধান অংশ হল CU বা কন্ট্রোল ইউনিট, ALU বা অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট। ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে যে নির্দেশ দেওয়া হয় তা CPU-এর ভিতরে পালিত হয় এবং মনিটরের মাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়, যা আমরা দেখতে পাই।

(১) CU বা কন্ট্রোল ইউনিট : এটি এক প্রকারের বৈদ্যুতিক সার্কিট। CU কম্পিউটারের ভিতরের ও কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত সকল যন্ত্রাংশকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি আবার ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস এবং মেমোরি ইউনিটের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে থাকে।

(২) ALU বা অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট : CPU-এর অভ্যন্তরে সমস্ত প্রকারের গাণিতিক ও লজিক্যাল কাজগুলি ALU সম্পন্ন করে থাকে। এটি যােগ, বিয়ােগ, গুণ, ভাগ-সহ সরল অঙ্ক সমাধানের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। তবে এটি বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি অনুসারে কাজ করে থাকে। এটি AND, NAND, OR, NOR প্রভৃতি লজিক্যাল অপারেশন করতে পারে যার সম্পর্কে পরবর্তী শ্রেণিতে আরও বিশদে জানতে পারবে।

CAI ও CAL শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহারের পদ্ধতি

CAI পদ্ধতি : CAI বা Computer Assisted Instruction হল শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের প্রথম পদক্ষেপ। বস্তুতপক্ষে স্কিনারের প্রােগ্রাম শিখনকে বাস্তব রূপ দিতে গিয়ে CAI পদ্ধতির প্রয়ােগ শুরু হয়। এখানে গােটা বিষয়বস্তুকে ছােটো ছােটো অংশে ভেঙে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে শিখনলব্ধ অভিজ্ঞতাকে শক্তিশালী করার জন্য শিক্ষার্থীর সামনে শক্তিদায়ক সত্তা বা Reinforcement হাজির করা হয়। এইক্ষেত্রে কম্পিউটারের সহায়তায় এই কাজটি সম্পাদন করা হয়ে থাকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের এইরূপ ব্যবহারের জন্য এটিকে CAI বা কম্পিউটার সহযােগী শিখন বলা হয়।

CAL পদ্ধতি : CAI পদ্ধতি সীমিত হওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও একটি নতুন ধরনের পদ্ধতির প্রয়ােগ দেখা যায়। এর নাম হল কম্পিউটার সহযােগী শিখন বা CAL (Computer Assisted Learning)। শিখন যখন ব্যক্তিগত কৌশল বা পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয় কিংবা বিশাল পাঠক্রমের অভিজ্ঞতা যখন শিক্ষার্থীর পক্ষে অর্জন করা অসুবিধা সাপেক্ষ হয় তখন শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারকে যেভাবে প্রয়ােগ করা হয়, তাকেই বলে CAL।

এখানে শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণের মধ্যে যােগাযােগকারীর ভূমিকা পালন করে পরিবেশ। এই ক্ষেত্রে কম্পিউটারের উদ্দেশ্য হল শিখন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সুযােগ করে দেওয়া। কম্পিউটার এখানে সহযােগী তন্ত্র হিসেবে কাজ করে। বস্তুতপক্ষে CAL পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জ্ঞান অর্জন করে।