বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত শিক্ষা এবং বিশ্বের শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি সম্পর্কে UNESCO ইউনেস্কোর ভূমিকা লেখো।

বিজ্ঞানের হাত ধরে প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্তমান যুগে তথ্যের বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিদ্যালয় স্তর থেকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত শিক্ষা এবং শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির প্রয়ােজনীয়তা হচ্ছে। বর্তমানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভবিষ্যতের সঠিক দিশা ঠিক করতেই এই বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়ার কথা ভাবছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি, বিশেষত UNESCO এই বিষয়ে অগ্রগামী।

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং গণিতের ক্ষেত্রে UNESCO-এর অবদান

(১) বিদ্যালয় শিক্ষার পাঠক্রমে মূল বিষয় হিসেবে গণ্য করা : প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক এবং আরও উচ্চস্তরে বিদ্যালয় স্তরে বিজ্ঞান, গণিত এবং প্রযুক্তি শিখনের মূল বিষয় হিসেবে পরিগণিত হবে।

(২) দূরশিক্ষা: দূরশিক্ষার পদ্ধতিতে STM (Science, Technology & Mathematics) বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করবে।

(৩) স্বয়ংশিখন : শিক্ষার্থীরা যাতে এই তিন বিষয়ে ভীতি দূর করে স্বয়ং শিখনে উদ্যোগী হয়, তার জন্য অনুপ্রাণিত করতে হবে।

(৪) প্রাসঙ্গিকতা : STM-এর পাঠক্রম এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে এবং উপস্থাপিত হবে যাতে তা শিক্ষার্থীদের কাছে প্রাসঙ্গিক হয়।

(৫) মূল্যবােধ : STM শিখনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, মানবাধিকার ও বিশ্বশান্তি সম্পর্কে বার্তা দিতে হবে। এই বিষয়ে শিক্ষকের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে UNESCO-র ভূমিকা

বিশ্বের সর্বত্র কম্পিউটার এবং ওয়েব-টেকনোলজি হাত ধরে যাবতীয় তথ্য আজ হাতের মুঠোয়। এর ফলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষণ পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। Information & Communication Technology (ICT)-র ব্যবহার এখন শ্রেণিক্ষে একটি সুবিদিত ঘটনা। UNESCO-র ICT-র লক্ষ্য এবং বিষয় সম্পর্কে সুপারিশগুলি নিম্নে বর্ণিত হল―

(১) বিদ্যালয়ের বিষয়গুলির মধ্যে সমন্বয়সাধন : বিদ্যালয়ের পাঠ্য বিষয় গুলোর মধ্যে সমন্বয়সাধন করতে হবে। তাদের অংশগুলি পরস্পর যুক্ত করতে হবে।

(২) প্রাসঙ্গিক এবং বাস্তবধর্মী শিখন : শিখনের বিষয়গুলিকে জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত করে প্রাসঙ্গিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

(৩) তথ্য, যােগাযােগ এবং সামাজিক দক্ষতার উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান : UNESCO তথ্য অনুসন্ধান, যােগাযােগ এবং সামাজিক দক্ষতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।

(৪) মূল্যায়ন পদ্ধতি : শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছে UNESCO। পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। মুক্ত পরীক্ষা, Open book exam, নির্ণায়কমূলক মূল্যায়ন পদ্ধতি, চূড়ান্ত পদ্ধতি, পাের্টফোলিও অ্যাসেসমেন্ট প্রভৃতি মূল্যায়ন পদ্ধতি কে বিদ্যালয় মূল্যায়ন পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টিতে লিঙ্গ বিভেদ নিশ্চয়ই একটি উপাদান -বিষয়টি আলােচনা করাে।


শিক্ষার উদ্দেশ্য রূপায়ণে সামাজিক বৈষম্য কীভাবে দূর করা সম্ভব হবে?


বিশ্বশিক্ষা বলতে কী বােঝায়? রাষ্ট্রীয় শিক্ষাকে বিশ্বশিক্ষায় রূপান্তরিত করতে হলে তার উদ্দেশ্যগুলি কী হওয়া উচিত?