গড়, মধ্যমমান ও ভূয়িষ্ঠক-এর তুলনামূলক আলােচনা করাে।

গড়, মধ্যমমান ও ভূয়িষ্ঠক-এর তুলনা

গড়:

(১) সমজাতীয় রাশি গুলির মান যোগ করে যোগফলকে রাশিগুলোর মােট সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায়, তাকে গড় বলে।

(২) যখন ফ্রিকোয়েন্সি বণ্টনটি স্বাভাবিক হয় তখন গড় ব্যবহৃত হয়।

(৩) নির্ভরযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি এবং নির্ভুল সবচেয়ে বেশি।

(৪) প্রত্যেকটি স্কোরের ওজন একই বলে ধরে নেওয়ার সময় গড় ব্যবহৃত হয়।

(৫) SD, দুটি দলের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য গড় ব্যবহৃত হয়।

(৬) গড় নির্ণয়ের সময় বেশি লাগে ভূয়িষ্ঠক অপেক্ষা।

(৭) অসম্পূর্ণ বণ্টন হলে গড় নির্ণয় করা যায় না।

(৮) কেবলমাত্র তথ্যের পর্যবেক্ষণ দ্বারা গড়ের মান নির্ণয় করা যায় না। একগুচ্ছ তথ্যের মধ্যে একটি মাত্র তথ্য অনুপস্থিত থাকলেও গড় নির্ণয় করা যায় না।

(৯) গড় স্কোর সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন স্কোরের দ্বারা প্রভাবিত হয়।

(১০) কোনো পরিসংখ্যান বন্টনের একটি মাত্র গড় থাকে।

(১১) গড় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে স্কোর সমূহের মানের উর্ধ্বক্রম সাজানোর প্রয়োজন হয় না।

(১২) গড়ের ব্যবহার এক্ষেত্রে বিশেষ হয় না।

(১৩) গড় শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা দেয়।

মধ্যমমান:

(১) পরিসংখ্যা বিভাজনে যে বিন্দুর উপরে বা যে মানের উপরে শতকরা 50 ভাগ এবং নীচে শতকরা 50 ভাগ স্কোর থাকে, তাকে বলে মধ্যমমান।

(২) যখন ফ্রিকোয়েন্সি বণ্টনটি স্বাভাবিক হয় না তখন মধ্যমমান ব্যবহৃত হয়।

(৩) নির্ভরযোগ্যতা ও নির্ভুল গড় অপেক্ষা কম, ভূমিষ্টক অপেক্ষা বেশি।

(৪) বন্টন এর মধ্যে কোনো স্কোর উপরের অর্ধে আছে বা নীচের অর্ধে আছে তা জানার জন্য মধ্যমমান ব্যবহৃত হয়।

(৫) মধ্যমান দ্বারা SD নির্ণয় করা যায় না।

(৬) মধ্যমমান নির্ণয় করতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে।

(৭) অসম্পূর্ণ বন্টন হলে মধ্যমমান নির্ণয় করা যায়।

(৮) মধ্যমমান সহজে তথ্যের পর্যবেক্ষণ করে বের করা যায়।

(৯) মধ্যমমান স্কোর বণ্টনের চরম মান দ্বারা প্রভাবিত হয় না।

(১০) কোনাে পরিসংখ্যান বণ্টনে একটিমাত্র মধ্যমান থাকে।

(১১) মধ্যমান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে স্কোর সমূহের মানের ঊর্ধ্বক্রম সাজানাের প্রয়ােজন হয়।

(১২) মধ্যম মানের ব্যবহার এক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম।

(১৩) মাঝামাঝি ধরনের দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে মধ্যম মানের সাহায্যে ধারণা পাওয়া যায়।

ভূয়িষ্ঠক:

(১) কোনো রাশিতথ্যমালায় যে রাশিটি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার পুনরাবৃত্তি হয়েছে, তাকে বলে ভূয়িষ্ঠক।

(২) যখন একটি সাধারণ বা চলতি পরিমাপের প্রয়োজন হয় তখন মোড ব্যবহৃত হয়।

(৩) নির্ভরযোগ্যতা ও নির্ভুল গড় ও মধ্যম মান অপেক্ষা কম।

(৪) যখন জানতে চাওয়া হয় কোনো বন্টন এর মধ্যে কোন স্কোরের সবচেয়ে বেশিবার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে তখন ভূয়িষ্ঠক ব্যবহৃত হয়।

(৫) ভূয়িষ্ঠক দ্বারা SD নির্ণয় করা যায় না।

(৬) সবচেয়ে দ্রুত ভাবে ভূয়িষ্ঠক নির্ণয় করা যায়।

(৭) অসম্পূর্ণ বন্টন হলে ভূয়িষ্ঠক নির্ণয় করা যায় না।

(৮) ভূয়িষ্ঠক তথ্যের পর্যবেক্ষণ করে বের করা সম্ভব।

(৯) ভূয়িষ্ঠক স্কোরের একটিমাত্র মানের উপর গুরুত্ব দেয়। চরম মান দ্বারা প্রভাবিত হয় না।

(১০) কোনো পরিসংখ্যান বন্টনে এক বা তার অধিক ভূয়িষ্ঠক থাকতে পারে।

(১১) ভূয়িষ্ঠক নির্ণয় ক্ষেত্রে স্কোর সমূহের উর্ধ্বক্রম সাজানো প্রয়োজন হয় না।

(১২) ভূয়িষ্ঠকের ব্যবহার এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে হয়।

(১৩) ভূয়িষ্ঠকের দ্বারা সর্বোচ্চ পরিসংখ্যান বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা যায়। তার দ্বারা বোঝা যায় কত নম্বর বা কোন সংখ্যা শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে বেশি পেয়েছে।

প্রকৃত শ্রেণিসীমা  বলতে কী বােঝাে। উদাহরণ-সহ আলােচনা করাে।


লেখচিত্র কাকে বলে। লেখচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপনের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি কী কী লেখা। প্রস্তুতির নিয়মাবলি কী কী । লেখচিত্রের মাধ্যমে শিক্ষামূলক তথ্যের উপস্থাপন সম্বন্ধে একটি টীকা লেখাে।


(i) স্কোর, (ii) স্কেল, (i) প্রসার, (iv)ধাপদূরত্ব বলতে কী বােঝায়।