ছক প্রস্তূত করার সাধারণ নিয়মগুলি লেখো

ছক তৈরি করার সাধারণ নিয়ম

ছক তৈরির কোনাে সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবুও এমনভাবে ছক তৈরি করতে হবে যাতে রাশিতথ্যগুলিকে সহজে বােঝা যায় এবং যে-কোনাে তথ্যকে অতি সহজে সংগ্রহ করা যায়। ছক তৈরির সময় যেসব দিকে নজর দিতে হবে  সেগুলি নীচে আলােচনা করা হল—

(১) ছক নম্বর প্রদান : একাধিক ছক তৈরি হলে সবার উপর ক্রমানুযায়ী নম্বর প্রদান করতে হবে, যাতে যে-কোনাে ছককে প্রয়ােজনে সহজে বের করা যাবে।

(২) তারিখ : ছকের ডান দিকে যেদিন ছকটি তৈরি করা হল, সেদিনের তারিখ লেখা হয়।

(৩) শিরােনাম : বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে ছকের অর্থবহ শিরােনাম ছক নম্বরের নীচেই লেখা হয়।

(৪) সামঞ্জস্যপূর্ণ : ছকের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

(৫) সংক্ষিপ্ত বিবরণ : ছকের মধ্যেকার লিখিত বিবরণ সংক্ষিপ্ত হতে হবে এবং সহজে যেন বােঝা যায় তেমন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।

(৬) সহজবােধ্য বিবরণ : ছকের মধ্যে যেসকল লিখিত বিবরণ থাকবে তা সহজবােধ্য হতে হবে।

(৭) তুলনামূলক রাশি : যে-সমস্ত রাশিগুলির মধ্যে তুলনা করা হয় সেসমস্ত রাশিগুলিকে পাশাপাশি সারিবদ্ধভাবে লিখতে হবে।

(৮) উপযুক্ত একক : ছকের মাধ্যমে তথ্য প্রকাশের সময় তথ্য অনুযায়ী উপযুক্ত একক ব্যবহার করতে হবে।

(৯) পাদটীকা লিখন : যদি কোনাে কঠিন শব্দ ছকের মধ্যে ব্যবহার করা হয় তাহলে তার ব্যাখ্যা পাদটীকাতে লিখতে হবে।

নমুনা ছক

প্রতিটি অধ্যায়ভিত্তিক মান-সহ বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন -

তথ্যসংগ্রহ করার পদ্ধতি

তথ্যসংগ্রহ করার জন্য যেসকল পদ্ধতি সাধারণত ব্যবহার করা হয়, সেগুলি হল —

(১) সাক্ষাৎকার : তথ্যসংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথাবার্তার মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

(২) সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিবরণী : তথ্যসংগ্রহকারী তথ্যসংগ্রহ করার সময় অনেকক্ষেত্রে সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিবরণীর উপর নির্ভর করে।

(৩) ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ : তথ্যসংগ্রহকারী যখন নিজে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্যসংগ্রহ করে, তখন তাকে ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বলে।

(৪) বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল : শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার জন্য তথ্যের প্রয়ােজন। তাই শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কিত তথ্য যা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মাধ্যমে জানা যায় সেই সংক্রান্ত রিপাের্ট সংগ্রহ করা হয়।

(৫) পরিচিত মানুষজন : বন্ধুবান্ধব, অভিভাবক, প্রতিবেশী ইত্যাদি লােকজনের কাছ থেকেও তথ্যসংগ্রহ করা হয়।

(৬) ইন্টারনেট : বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে খুব সহজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যসংগ্রহ করা যায়।

(৭) সরকারি ও বেসরকারি রিপাের্ট : বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত সরকারি ও বেসরকারি রিপাের্ট থেকেও তথ্যসংগ্রহ করা হয়। কারণ সবসময় পর্যবেক্ষণ করে তথ্য আহরণ করা যায় না।

(৮) অভীক্ষা : তথ্যসংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন রকমের মনস্তাত্ত্বিক বা শিক্ষামূলক অভীক্ষা প্রয়ােগ করা হয়।

(৯) প্রশ্ন পাঠিয়ে তথ্যসংগ্রহ : তথ্যসংগ্রহ করার জন্য আগে থেকে প্রস্তুত করা প্রশ্ন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানাে হয় এবং প্রাপ্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।

সুতরাং উপরােক্ত বিষয়গুলি অবলম্বনের মাধ্যমে কোনাে বিষয়ে তথ্যসংগ্রহ করা হয়।

রাশিবিজ্ঞান বলতে কী বোঝো। শিক্ষাগত রাশিবিজ্ঞান কাকে বলে বা শিক্ষা রাশিবিজ্ঞন কাকে বলে। শিক্ষা-রাশিবিজ্ঞানের উপযােগিতা লেখাে।


শিক্ষাক্ষেত্রে মূল্যায়নের কাজে রাশিবিজ্ঞানের প্রয়ােগের উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো 


রাশি বিজ্ঞানের আলােচনায় ব্যবহৃত নিম্নলিখিত শব্দগুলির অর্থ আলােচনা করাে। সারিবিন্যাস, স্কেল, চল, সারি।