সাক্ষরােত্তর কর্মসূচি সম্পর্কে আলােচনা করাে।

সাক্ষরােত্তর কর্মসূচি

সার্বিক সাক্ষরতা বা পূর্ণ সাক্ষরতা অভিযানের পরবর্তী কর্মসূচি হল সাক্ষরােত্তর কর্মসূচি। রাজ্য উপকরণ কেন্দ্র বা State Resource Centre এই কর্মসূচিকে সফল করার দায়িত্ব নেয়।

সাক্ষরতার উদ্দেশ্য শুধু নিরক্ষরদের স্বাক্ষর করে ভালো নয়, আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল সাক্ষরােত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা অর্থাৎ Post Literacy Programme (PLP) করা। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য গুলি হল-

(১) অর্জিত শিক্ষার মান উন্নয়নে: সাক্ষরতার কর্মসূচির মাধ্যমে নব সাক্ষর ব্যক্তির অর্জিত শিক্ষার মান আরও উন্নত করা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলে অর্জিত শিক্ষাকে ধরে রাখবে এবং মানোন্নয়নে ঘটায়। এর ফলে পেশাগত দক্ষতা বাড়বে, তাদের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে সেই সকল বিষয়ে।

(২) শিক্ষকনির্ভরতা কাটানাে : এই কর্মসূচির আর-একটি উদ্দেশ্য হল নবসাক্ষর ব্যক্তির শিক্ষক নির্ভরতা কাটাতে।

(৩) অর্জিত শিক্ষার ব্যবহারিক প্রয়োগ : এই কর্মসূচির মাধ্যমে নবসাক্ষর ব্যক্তিরা যাতে অর্জিত শিক্ষাকে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা সেই অভিজ্ঞতাকে প্রয়োগ করতে পারে।

(৪) চিন্তাশক্তির বিকাশ : এই কর্মসূচির মাধ্যমে নব সাক্ষর ব্যক্তির চিন্তাশক্তি ও বিশ্লেষণী ক্ষমতার বিকাশ ঘটাতে হবে। চিন্তাশক্তির বিকাশ যুক্তিবোধ গড়ে তােলে।

এইসকল কর্মসূচিগুলিকে সফল করার কাজ করে State Resource Centre। এই কর্মসূচির জন্য সংস্থাটি সবরকম প্রযুক্তিগত উপকরণ সরবরাহ করে। জেলা উপকরণ কেন্দ্র বা Districts Resource Centre শিক্ষামূলক ও প্রযুক্তিগত উপাদান তৈরি করে। সাক্ষরতার ক্ষেত্রে গণ আন্দোলনের পরিবেশ, জনসাধারণের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিরক্ষরতার করাল ছায়া থেকে দেশকে মুক্ত করতে পারবে।