'পরিণত হতে শেখা'-র উদ্দেশ্য ব্যক্ত করাে।

আন্তর্জাতিক শিক্ষা কমিশনে জ্যাক ডেলর কমিটির প্রস্তাবকে বাস্তব রূপ দিতে বিশ্বের সকল দেশ তৎপর হয়েছে নিজ নিজ পরিকাঠামােগত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার উদ্দেশ্য ও নানান শিক্ষাপ্রকল্পের উদ্ভাবনেㅡ যার মাধ্যমে মানবসমাজের ক্রমপুঞ্জমান জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করে পরবর্তী প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়া যায়। কারণ শিক্ষাকে বর্তমানে মানব সম্পদ এবং মানব মূলধন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিরক্ষর মানুষ সেই মূলধন সম্পদকে যথাযােগ্য ব্যবহার করতে পারে না। ফলে দেশের সার্বিক অগ্রগতি ও বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। বিভিন্ন দেশের অন্তর্নিহিত মৌলিক মূল্যবোধ- এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের চাহিদা ও প্রত্যাশার প্রতি লক্ষ্য রেখে সকল দেশ শিক্ষার উদ্দেশ্য প্রবর্তনে আগ্রহী।

শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য ব্যক্তির সর্বাঙ্গীণ বিকাশসাধন। শিক্ষাবিদ ডিউই-এ- এর মতে, শিক্ষা এমন একটি প্রক্রিয়া যা শিশুর সম্ভাবনাময় সমস্ত গুণের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটায় এবং ব্যক্তিকে যথার্থ মানুষরূপে গড়ে তােলে। ব্যক্তির সর্বাঙ্গীণ বিকাশ অর্থাৎ দৈহিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক, নান্দনিক, বৈজ্ঞানিক, শৈল্পিক, সৃজনশীল ইত্যাদির পরিপূর্ণ বিকাশ, যা তাকে পরিণত হতে শেখায়।

পরিণত হতে শেখার উদ্দেশ্য

(১) বিভিন্ন শিক্ষার্থী যাতে নিজেদের সহজাত সামর্থ্য, প্রবণতা ও আগ্রহ অনুযায়ী শিক্ষা লাভ করতে পারে, তার আয়ােজন করতে হবে।

(২) বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানের জগতে যে বিশাল অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হয়েছে, তার সব কিছুর সঙ্গে শিক্ষার্থীকে পরিচিতি করাতে হবে।

(৩) শিক্ষার উদ্দেশ্য হল সৃজন ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে ব্যক্তির প্রকৃতিদত্ত বিভিন্ন প্রতিভার বিকাশ ঘটানাে। 

এইসকল উদ্দেশ্যপূরণের সঙ্গে উপযােগী পরিবেশ, বিদ্যালয়ের উপযুক্ত পাঠক্রম, হাতেকলমে শিক্ষা ইত্যাদির সহায়তায় পরিণত হতে শেখে শিক্ষার্থীরা।

মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষার উদ্দেশ্যকে কার্যকরী করতে বিদ্যালয়ের ভূমিকা | মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলি পূরণে বিদ্যালয়ের ভূমিকা


প্রকৃত মানুষ তৈরিতে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানগুলি কী কী হতে পারে তা ব্যাখ্যা করাে।


প্রকৃত মানুষ হওয়ার গুণাবলি কী? অথবা, প্রকৃত মানুষের গুণাবলি কী হওয়া উচিত বলে তুমি মনে করাে আলােচনা করাে।