শিক্ষার উদ্দেশ্য রূপায়ণে সামাজিক বৈষম্য কীভাবে দূর করা সম্ভব হবে?

শিক্ষার উদ্দেশ্য রূপায়ণে সামাজিক বৈষম্য

সভ্যতার আদি থেকে সমাজের কর্মকুশলতার উপর নির্ভর করে নারী-পুরুষের বিভেদ তৈরি হয়েছে। নারী-পুরুষের এই বিভেদ আজ একটি সামাজিক সমস্যা। শিক্ষাই একমাত্র হাতিয়ার যা এই বৈষম্যকে অনেকটা দূর করতে সক্ষম হবে।

সামাজিক বৈষম্য শিক্ষার ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি করেছে। শিক্ষিত অশিক্ষিত, ধনী-দরিদ্র, গ্রাম-শহর, উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণ ইত্যাদি সামাজিক ব্যাধি শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তাই শিক্ষার উদ্দেশ্য রূপায়ণে সামাজিক বৈষম্য সমূহ দূর করতে হবে নিম্নলিখিত উপায়েㅡ

(১) কুসংস্কার দূর করা : শিক্ষার দ্বারা মানুষের মন থেকে অন্ধ কুসংস্কার দূর করে সচেতন করে তুলতে হবে।

(২) হিংসা-বিদ্বেষ দূর করা : মানুষের মন থেকে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করতে হবে।

(৩) মানবিক গুণগুলির বিকাশসাধন : শিক্ষার দ্বারা শিশুর মধ্যে বিভিন্ন মানবিক গুণ যেমন- সহযােগিতা, সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ববোধ, সহমর্মিতা প্রভৃতির বিকাশসাধন করতে হবে।

(৪) একত্রে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার মানসিকতা : শিশুর মধ্যে এমন বােধ গড়ে তুলতে হবে যাতে সমাজে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার মানসিকতা তৈরি হয়।

(৫) সাংস্কৃতিক মনােভাব গড়ে তােলা : শিশুকে সংস্কৃতিমনস্ক করে গড়ে তুলতে হবে। যাতে সে বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটাতে সক্ষম হয়। সাংস্কৃতিক ঐক্যবােধ শিক্ষার্থীকে সামাজিক বৈষম্য দূর করতে সক্ষম করবে।

(৬) সরকারি পদক্ষেপ : বৈষম্যবিরােধী ব্যবস্থা হিসেবে যেসকল সরকারি কর্মনীতি চালু করা হয়েছে, সেগুলিকে পর্যালোচনা করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

বর্তমানে আমাদের আনন্দের বিষয় হল সর্বস্তরে সরকারি কর্মনীতিগুলি শিক্ষাক্ষেত্রে রূপায়িত হচ্ছে সামাজিক বৈষম্য দূর করার উদ্দেশ্যে।